মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, দুই মন্ত্রী মো. মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানসহ শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল বলে দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে আজ (বুধবার) খবর প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রকাশিত এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা।

বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে লিখেছে, ‘শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল’ বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে- তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের বরাত দিয়ে ওই পোস্টে প্রেস উইং ফ্যাক্টস লিখেছে, “মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও ‘মুক্তিযোদ্ধা’। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, যারা পরিচালনা করেছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’।”

ফারুক ই আজম বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) অধ্যাদেশ অনুযায়ী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এই নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। 

১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা ছিল সেটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।